আরোহী ও অবরোহী পদ্ধতি কী ? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা
আরোহী ও অবরোহী পদ্ধতি |
ব্যাকরণ পাঠদান, সামাজিক গবেষণা, দর্শনশাস্ত্র ও গাণিতিক যুক্তি হিসাবে এই আরোহী পদ্ধতি(Inductive Method ) ও অবরোহী পদ্ধতির(Deductive Method ) অবতারণা করা হয় । পাঠদান, গবেষণা ও যুক্তিকে আরো সহজবোধ্য ও মনোবিজ্ঞানভিত্তিক করে তুলতে এই দুটি পদ্ধতির প্রয়োগ প্রায়ই লক্ষনীয়। যেকোনো সাধারণ বিবৃতি প্রকাশ ও তাকে প্রমান করতে আরোহী ও অবরোহী পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এই দুটি পদ্ধতি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল:-
আরোহী পদ্ধতি(Inductive Method ):
আরোহী পদ্ধতি হল সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একাধিক একজাতীয় দৃষ্টান্ত বা উদাহরণ থেকে একটি সাধারণ বিবৃতি বা সূত্র গঠন করা হয়। অর্থাৎ উদাহরণ থেকে সূত্রে উপনীত হওয়ার জন্য এই পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। অন্যভাবে বলা যায়, বিভিন্ন অংশ গুলির পর্যবেক্ষণসূত্রে একটি সমগ্রক সম্পর্কে সাধারণ বিবৃতি প্রকাশই হলো আরোহী পদ্ধতি।
উদাহরণ:- একজন ব্যক্তি হিসাবে কার্তিক মারা গেলে, যদু মারা গেলে, গনেশ মারা, রহিম মারা গেলে, মানুষ সম্পর্কে এই সূত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় যে,- 'মানুষ মরণশীল'
সামাজিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যকে শ্রেণীবিভাগ করতে, দর্শনে যুক্তিকে প্রতিষ্ঠা করতে এবং গণিতেও এই পদ্ধতির ব্যবহার দেখা যায়।
অবরোহী পদ্ধতির(Deductive Method ):
আরোহী পদ্ধতির একদম বিপরীত পদ্ধতিটি হলো অবরোহী পদ্ধতি। এক্ষেত্রে একটি সূত্র থেকে উদাহরণে যাওয়া হয়| অর্থাৎ, পূর্বে গঠিত কোনো একটি বিবৃতির মাধ্যমে যখন একটি সমগ্রকের অংশ গুলি সম্পর্কে ধারণা গঠন করা হয়, তখন ইহা এই পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে। ব্যাকরণ পাঠদানে একজন শিক্ষক এই পদ্ধতির প্রয়োগ করে থাকেন ।
উদাহরণ:- 'মানুষ মরণশীল'- এই বিবৃতি থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, একজন মানুষ হিসাবে রাম, শ্যাম, গনেশ, যদু সবারই মৃত্যু অনিবার্য।
পরিশেষে বলা যায়, মনস্তাত্ত্বিক ও যুক্তিশাস্ত্রতে এই দুই পদ্ধতির যথেষ্টই সমাদর রয়েছে এবং এগুলি একে অপরের পরিপূরকও বটে।
No comments:
Post a Comment